চমাশিহা বেসরকারী পর্যায়ে চিকিৎসাসেবায় একটি রোল মডেল – সমাজকল্যাণ সচিব 

মুহাম্মদ মহিউদ্দিন বিশেষ প্রতিবেদক।। 
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ খায়রুল আলম সেখ এর সাথে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদ  ও  চিকিৎসকদের এক মতবিনিময় সভা অদ্য ১২ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালের লেকচার গ্যালারীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব রুহুল কুদ্দুস, বিভাগীয় সমাজসেবা পরিচালক কাজী নাজিমুল ইসলাম, সচিব মহোদয়ের সহধর্মিনী পারভিন সুলতানা,  অর্গানাইজিং সেক্রেটারী মোহাম্মদ সাগির, কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রফেসর অসীম কুমার বড়ুয়া, পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোঃ নূরুল হক।
এ সময় সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন   হাসপাতালের নানাবিধ সেবা ও চলমান প্রকল্প গুলো পুংখানুরূপে তুলে ধরার পাশাপাশি সেবার বিস্তৃতি বহু গুণে বৃদ্ধি করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন  হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ আলমগীর পারভেজ, পরিচালক – অটিজম ও শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মাহমুদ আহমেদ চৌধুরী আরজু, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) জনাব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, উপ-পরিচালক (মেডিকেল এ্যাফেয়ার্স) ডাঃ এ কে এম আশরাফুল করিম, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও শিক্ষক মন্ডলী, কর্মকর্তা, কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মাননীয় সচিব মহোদয় বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল বেসরকারী উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি হাসপাতাল। এটি বাংলাদেশে বেসরকারী পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল গুলোর জন্য একটি রোল মডেল হতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম দেখে আমি খুবই অভিভূত হয়েছি। জনকল্যাণ ও স্বাস্থ্য সেবায় আপনারা এই অঞ্চলে বিরাট ভূমিকা পালন করছেন। করোনাকালে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ভুমিকা দেশ ব্যাপী ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য সেবা, জনকল্যাণ ও অসহায় মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিধি অনেক ব্যাপক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাজের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী তনয়া সায়মা ওয়াজেদও অটিজম নিয়ে কাজ করছেন। আমি জেনে আরো আনন্দিত হয়েছি আপনাদের এই প্রতিষ্ঠানেও অটিজম সহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য অটিজম ও শিশু বিকাশ কেন্দ্র নামে একটি বিভাগ রয়েছে এবং দেশ ব্যাপী এটির খুব সুনাম রয়েছে। আনন্দিত হয়েছি সম্প্রতি আপনারা অত্যাধুনিক ক্যান্সার মেশিন স্থাপন সহ ক্যান্সার ইনষ্টিটিউট চালু করেছেন। আমরা যারা সমাজে ভালো অবস্থানে আছি তাদের উচিৎ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদেরকে  নিজ নিজ এলাকায় অসহায় মানুষের জন্য কাজ করতে। আপনাদের হাসপাতাল দেখে আমি খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমি নিজেও আমার এলাকায় একটি হাসপাতাল করার জন্য মনস্থির করেছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবীর প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের জন্য কিছু করতে পারলে আমি খুবই খুশি হব। তিনি হাসপাতালের যেকোনো বিষয়ে সর্বাত্বক সহযোগীতা করার জন্য আশ্বাস প্রদান করেন।
পরে তিনি হাসপাতালের অটিজম ও শিশু বিকাশ কেন্দ্র সহ বিভিন্ন বিভাগ সমূহ পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন  ইজতেমায় আরও ৩ মুসল্লির মৃত্যু
শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন