দোকান ভাড়া নিয়ে জায়গার মালিকানা দাবি ও স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টার অভিযোগ

মো: এরশাদ বাঁশখালী চট্টগ্রাম।।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুরের বাণীগ্রাম এলাকায় দোকান ভাড়াটিয়া চুক্তিনামার সুবাদে ভুমি দখল ও পাকা স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে, যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার সাধনপুরের বাণীগ্রাম এলাকার মৃত হরি মোহন চৌধুরীর পুত্র মনোমোহন চৌধুরী একই এলাকার যোগেন্দ্র চন্দ্র ভট্টাচার্য এর কাছ থেকে বিগত ১৯৪০ ইং সনে ১৬০৭ নং খরিদা দলিল মূলে আর এস খতিয়ান নং ৬০৪ আর এস ৬৭০ এবং ৬৭১ দাগের, বিএস খতিয়ান ৫৭২ ও সৃজিত খতিয়ান নং ১২১৯ এর বিএস ৬৮৮ ও ৬৮৯ দাগের সাড়ে ৪ গন্ডা ৯ শতক ভুমি খরিদা মুলে মালিক হন, তৎমতে দখল স্থিত থাকিয়া মনোমোহন চৌধুরীর মৃত্যু বরণে পৈত্রিক সুত্রে রবীন্দ্র লাল চৌধুরী নালিশী ভুমিতে দখল স্থিত থাকিয়া তাহার জীবদ্দশায় টিনের বেড়াযুক্ত দোকান নির্মাণ পূর্বক গত ২০১২ সনে দুই বছর মেয়াদ উল্লেখ পূর্বক (দোকান ভাড়াটিয়া চুক্তিনামা) মুলে চুক্তিনামায় উল্লেখিত শর্তের ভিত্তিতে একই এলাকার মৃত বিন্দু চরন দের পুত্র মনি দে নামে এক ব্যক্তিকে চায়ের দোকান ভাড়া দেন। ভাড়াটিয়া চুক্তিনামা সুবাদে এরই মধ্যে পৈত্রিক সুত্রে মালিকনা দাবি করিয়া মনি দের স্ত্রী নির্বানী দে গংরা জায়গা জবরদখল ও পাকা স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টা করছে মর্মে অভিযোগ মালিক পক্ষের।

১৭ মার্চ (রবিবার) দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শনে
ভুমি মালিক মৃত রবীন্দ্র লাল চৌধুরীর ৩ পুত্র রজত চৌধুরী, রঞ্জন চৌধুরী, পরমকুল চৌধুরী,২ কন্যা অঞ্জনা চৌধুরী, উপসনা চৌধুরী ও স্ত্রী পুষ্প চৌধুরীর ওয়ারিশ সনদ, ইউনিয়ন পরিষদ কতৃক সালিশী প্রতিবেদন ও উল্লেখিত কাগজপত্রসহ উপস্থাপন করেন।
অপরদিকে বিবাদী গংরা কোন ধরনের ডকুমেন্টসের তোয়াক্কা না করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টার বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করিলে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ এর নির্দেশে রামদাস মুন্সির হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর তপন কুমার বাকচীর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তৎক্ষনাৎ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বিবাদী মনি দে গংদের কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন এবং একই সাথে দুপক্ষকে তাদের সপক্ষে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসসহ নিয়ে থানায় যেতে বলেন পুলিশ।

আরও পড়ুন  পটিয়ায় ইন্দ্রপোলে বাস ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন আহত

স্থানীয় ও ভুমি মালিকদের দাবি, ভাড়াটিয়া চুক্তিনামা মুলে চায়ের দোকান করার সুবাদে বিবাদী পক্ষের লোকেরা ভুমি জবরদখল ও পাকা স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টা করছে। বিবাদী মনি দের ছেলে রুমন দে বর্তমানে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে থাকায় ছেলের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রবীন্দ্র লাল চৌধুরীর রেকর্ডীয় জায়গা বিবাদীরা জবরদখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টা করছে বলে জানান। এসময় সরকার ও প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন ভুমি মালিকরা।

 

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন