ইপিজেডে আকমল আলী রোডের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার ২ 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ০৯ মে রাতে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডস্থ রেললাইন এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে যুবক মেহেদী হাসান হত্যার ৪৮ ঘন্টার মাথায় ইপিজেড পুলিশ টিম অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এজাহার নামীয়  ২জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে,আর্টস মেটেরিয়ালস ফ্যাক্টরিতে কর্মরত সাদিকুর রহমান এবং রমজান আলির মধ্যে পাওনা টাকার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটিসহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ফ্যাক্টরি ছুটি হওয়ার পর তাদের উভয়ের পরিচিতজনরা উক্ত ফ্যাক্টরির সামনে উপস্থিত হলে পরিচিতজনদের সামনেই ৯ মে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.৪০ ঘটিকার সময় তাদের উভয়ের মধ্যে হাতাহাতিসহ হুমকি ধমকির ঘটনা ঘটে।
এর কিছুক্ষণ পর অর্থাৎ রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার সময় ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড চৌরাস্তা রাস্তার উপর বিবাদী সাদিকুর রহমান ও রমজান আলীসহ তাদের সহযোগীদের মধ্যে পুনরায় মারামারিরসহ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
এ সময়ে ঘটনাস্থল উক্ত রাস্তা দিয়ে বাদী রেহানা বেগম (৪৮)-এর ছেলে মেহেদি হাসান (১৯) ও তার নাতি মো. নাহিম (১৮) সহ অন্য পথচারীরা আতঙ্কিত হয়ে দিগ্‌বিদিক ছুটাছুটিকালীন বাদীর ছেলে মেহেদি হাসান (১৯)-কে আসামিরা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করলে বাদীর ছেলে মেহেদি হাসান (১৯)-এর বুকের ডান পাশে, ডান হাতের কব্জির উপরে এবং ডান পায়ের হাঁটুর পিছনে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়।
উক্ত মারামারির ঘটনায় মেহেদি হাসান রিফাত (২২) ও শহিদুল ইসলাম (২৩) ও ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়। বাদীর ছেলে মেহেদি হাসান (১৯)-এর শোর-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাই।পরবর্তীতে বাদীর নাতি মো. নাহিমসহ উপস্থিত লোকজন তার ছেলে মেহেদি হাসানকে উদ্ধারপূর্বক চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদীর ছেলে মেহেদি হাসান ঘটনার দিন রাত ১০টার সময় মারা যায়। উক্ত ঘটনায় বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে সিএমপি  ইপিজেড থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
ইপিজেড থানার  অফিসার ইনচার্জ মোঃ হোসাইন বলেন,  ইপিজেডের ২ পোশাক শ্রমিক  মধ্যে মধ্যে  মাত্র ১০০০ টাকার জন্য একে অপরের মধ্যে মতবিরোধ হয়, প্রথমে  ফ্যাক্টরিতে পরে ফ্যাক্টরির বাইরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ওইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার সময় ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড চৌরাস্তা রাস্তায় আসামি সাদিকুর রহমান ও রমজান আলীসহ তাদের সহযোগীদের মধ্যে পুনরায় মারামারিরসহ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে নিরীহ পথচারী মেহেদি হাসানকে আসামিরা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।ঘটনার পর থেকে থানা পুলিশ আসামিদেরকে ধরতে অভিযানের অব্যাহত রেখেছে তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি মোঃ রহমান ও মো. হাফিজুল ইসলাম -কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বাকিদেরও গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত তাকবপ বলে জানান ওসি মোহাম্মদ হোসাইন  ।  ্মামলার প্রেক্ষিতে সিএমপি ইপিজেড থানার এসআই (নি.)  মহসীন সরদার সঙ্গীয় অফিসার  এজাহার নামীয় আসামি মোঃ রহমান (২৬) এবং মামলার ঘটনার সহিত জড়িত সন্দেহে তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি মো. হাফিজুল ইসলাম (২৬)-কে গ্রেফতার করেন।গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে মামলার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন  বাঁশখালীতে স্বর্ণ ও নগদ অর্থ নিয়ে কর্মচারী লাপাত্তা
শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন