বিশেষ প্রতিবেদন।।
প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও দেশরত্ন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ অন্যায়ভাবে জুলুম -নির্যাতন অপমান করলে তা সত্যিকার ভাবে মেনে নেয়া খুবই কষ্টের ।
এর জন্য সকল সচেতন মহল ও দেশপ্রেমিক জনতা প্রতিবাদ- প্রতিরোধে এগিয়ে আসবে।
বিজয়ের এই ডিসেম্বর মাসে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে যারা না জেনে না বুঝে প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করছেন তা গোটা জাতির জন্য অপমানজনক ও অশ্রদ্ধার!
এর প্রতিবাদ স্বরূপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সুশীল কুমার বড়ুয়া কে ফুলের মালা ও ফুলেল সংবর্ধনা প্রদান করে জাতিকে কিছুটা মর্যাদা দিয়েছে নগরের ৩৯ নং ওয়ার্ডের সিমেন্ট ক্রসিংস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আমিন স্মৃতি সংসদ।
২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাতে সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আমিনের সুযোগের সন্তান মোঃ দেলোয়ার আমিন হারুনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সুশীল বড়ুয়া কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয় ।
এসময় স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক ও সাংবাদিক মুহাম্মদ বাবুল হোসেন বাবলা, সাবেক ফুটবলার ও সংগঠক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুশীল কুমারের সহধর্মিণী, স্বাস্থ্য সহকারী মিসেস দিপীকা বড়ুয়া, সমাজকর্মী মোঃ আব্দুস সালাম ,সমাজকর্মী মোঃ দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা প্রদান কালে সুশীল কুমার বড়ুয়া (৭৪)বলেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা কালীন সময়ে ১নং সেক্টরের অধীনস্থ মহামুনি পাহাড়তলী ও ফটিকছড়ি এলাকায় জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে জাতিকে মুক্ত করতে প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছেন। সত্যিকার অর্থে দেশ ভালোবাসায় যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য উৎসর্গ করেছি জীবন – যৌবন।
জন্মস্থান চট্টগ্রামের রাউজান হলেও বেশির ভাগই কেটেছে শহরের কর্মব্যস্ত জীবনে। বর্তমানে নগরীর ইপিজেড এলাকার দক্ষিণ হালিশহর আকমল আলী রোডে একটি ছোট্ট ফার্মেসি করছেন।
সর্বশেষ আমৃত্যু দেশের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে দেশ গঠনে এবং প্রকৃত দেশপ্রেমিক হিসেবে উন্নয়ন মূলক, সেবা মূলক কাজ করে বাকি সময়টা কাটাতে চান।
জীবন জীবিকার তাগিদে তিনি পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় একটি ছোট্ট ফার্মেসি ( ওষুধের দোকান) করে সাংসারিক জীবন চলে বলে জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি দল মত নির্বিশেষে দেশের জন্য নিবেদিত হয়ে মানুষের সেবায় এগিয়ে আসার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আমিন স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে এই মহান ব্যক্তির দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।