চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপুর এলাকায় শ্রমিকলীগের প্রভাব খাটিয়ে চন্দ্রপুর মোহাম্মদিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার দোকান ভাড়া বন্ধ করে দিলো কথিত ছাত্রলীগ নেতা মিজান। উক্ত মাদ্রাসা ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্থানীয় মুসল্লী এবং মসজিদ-মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান,জাফর আহমদ, শফিকুর রহমান, মোঃ ওসমান, আহমদ হোসেন, নুরুল আমিনসহ এলাকায় শত শত লোকজন অভিযোগ করে বলেন,পুকুরিয়া চন্দ্রপুরের পাহাড়ি এলাকা এখন আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ এবং ছাত্রলীগের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। চন্দ্রপুর মোহাম্মদীয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার ৫টি দোকান রয়েছে। ওইসব দোকান থেকে মাসিক ভাড়া হিসেবে পাওয়া অর্থ দিয়ে এই ফোরকানিয়া মাদ্রাসার খরচ বহন করা হয়।অন্যান্য দোকান ভাড়াটিয়ারা মাসিক দোকান ভাড়ার টাকার পরিচালনা কমিটিকে প্রদান করিলেও মিজানুর রহমান (মিজান) নামে কথিত এক ছাত্রলীগ নেতা দীর্ঘ ৬ মাস যাবত দোকান ভাড়া বন্ধ করে দিয়েছে। মসজিদ-মাদ্রাসা কমিটির লোকজন তার কাছ থেকে প্রতিমাসে দোকান ভাড়া দাবি করিলে সে ভাড়া দিবে বলিলেও আজকাল করিয়া দীর্ঘ ৬মাস যাবত দোকান ভাড়া প্রদান করেনাই।এরই মধ্যে গত রবিবার সকালে উক্ত মসজিদ- মাদ্রাসা কমিটির লোকজন তার কাছ থেকে দোকান ভাড়া বাবত পাওয়ানা টাকা চাইতে গেলে কথিত এই ছাত্রলীগ নেতা মিজান এবং তার সহযোগী চন্দ্রপুর ৪ নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুস, শ্রমিক লীগ নেতা মোস্তাকিম উদ্দিন শিফু, যুবলীগ নেতা মোঃ তৌকির, মহিউদ্দিন, বশির আহম প্রঃ বশিরাসহ সংঘবদ্ধ হয়ে মসজিদ -মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির লোকজনের উপর উল্টো হামলার চেষ্টা করে, এতে পুরো এলাকাজুড়ে এখন উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবিষয়ে প্রশাসনে অভিযোগ করা হবে বলেও জানিয়েছে মসজিদ -মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ দায়িত্বশীল সদস্যরা। এসময় অভিযুক্ত মিজানের কাছে থেকে দোকান ভাড়া বাবত পাওয়ানা টাকা উদ্ধার করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় মুসল্লীরাসহ মসজিদ -মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি।অপরদিকে দোকান ভাড়াটিয়া মিজানুর রহমান মিজানের সাথে যোগাযোগ করতে তার ০১৯৭৫- ০৩৫৮৪০, ০১৮৮১-০৩৫৮৪০ এবং ০১৮২৫-৬৬৬৩৩০ সহ তিনটি নাম্বারে একাধিক বার ফোন করা হলেও তন্মধ্যে ২টি নাম্বার বন্ধ দেখা যায় এবং ০১৯৭৫- ০৩৫৮৪০ তে বেশ কয়েকবার সংযোগ পাওয়া গেলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন বলেন, চন্দ্রপুর জামে মসজিদ এবং মোহাম্মদীয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা পরিচলনা কমিটির লোকজন আমাকে এবিষয়ে বেশ কয়েকবার মোখিক ভাবে অভিযোগ করেছিল, মিজান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা দীর্ঘ ৬ মাস যাবত মসজিদ -মাদ্রাসা কমিটিকে দোকান ভাড়ার টাকা দিচ্ছেনা। তার কাছ থেকে দোকান ভাড়া বাবত পাওয়ানা টাকা গুলো কমিটির হাতে প্রদান করার জন্যে তাকে আমি নিজেও অনেক বার বলেছি, কিন্তু কোন ধরনের কর্ণপাত করেনি। এমনকি দোকান ভাড়ার বকেয়া টাকা প্রদান না করে মিজান তার লোকজন সাথে নিয়ে মসজিদ কমিটির লোকজনকে উল্টো হুমকি দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
