বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সিইপিজেড ও কেইপিজেড এলাকার জুট ব্যবসা এখনও রয়েছে আওয়ামী স্বৈরাচারের দুষরদের কব্জায়—এমন অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে সিইপিজেড বেপজা ভবনের সম্মুখ চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় পরিবর্তন এলেও ইপিজেড ও কেইপিজেডের জুট ব্যবসায় এখনো প্রভাব বিস্তার করছে সাবেক আওয়ামী ঘরানার ব্যবসায়ীরা। তাদের অনেকেই বর্তমানে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সমঝোতায় থেকে ৬০-৪০ ভাগ হারে ব্যবসা পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ ওঠে।
বক্তারা আরও বলেন, এসব ব্যবসা থেকে কমিশনের টাকা বিদেশে থাকা পলাতক আওয়ামী নেতাদের কাছে যাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে ওই অর্থ ব্যবহার করে শ্রমিক উস্কানি ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির করে যাচ্ছে । ইপিজেডে আওয়ামী দুসরদের একটি চোর চক্রের বিরল সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত রাতের আঁধারে প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করে কোটি কোটি টাকার পণ্য পাচার করে আসছিল। যারা এখনো সক্রিয় রয়েছে। বর্তমানেও তাদেরকে মদত দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি’র কিছু মুখোশধারী নেতারা। বেপজা কর্তৃপক্ষের যেসব কর্মকর্তা এবং শিল্প মালিকরা পতীত ফ্যাসিস্টের সাথে যোগসাজস করে ব্যবসা পরিচালনা করতে সহায়তা করছেন অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান তারা।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপি সদস্য ও বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি হানিফ সওদাগর। ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আজম উদ্দিনের সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ এবং প্রধান বক্তা ছিলেন নগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সেলিম।
বক্তব্য রাখেন মো: সালাউদ্দিন, মাহাবুবুল আলম বাচ্চু, হাজ্বী মো: হোসেন, মো: তাজ উদ্দিন, মো: আবু বক্কর বাবুল, মো: মহিউদ্দিন, মো: কামরুজ্জামান, আলী আজম, শাহনেওয়াজ, হারুন মেম্বার,আলী আহসান, আনোয়ার হোসেন জুনু,মো: জুবাইয়ের, জাবেদ কায়ছার, মো: ইলিয়াস, মো: সালাউদ্দিন,আবদুর নুর মিটু,মাহবুব আলম, , রিয়াজ উদ্দিন রাজু,সাইদুর রহমান, নিজাম উদ্দিন ও
রহিম বাদশা প্রমুখ।
