কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে নবনির্মিত “উম্মুল কুরা মহিলা মাদ্রাসা” নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত তিন মাস ধরে ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রবাসী মিজানুর রহমানের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবী করছে এবং চাঁদা না পেয়ে নবনির্মিত মাদ্রাসা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী আন্দোলনের দুই স্থানীয় নেতা ঢেমুশিয়া হেতালিয়া পাড়ার মোহাম্মদ হাসান (৩৫) এবং তেচ্চীপাড়ার মোহাম্মদ ফয়েজ (৩৫) এর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত আনুমানিক আটটার দিকে প্রবাসী মিজানুর রহমানের পারিবারিক জমিতে নবনির্মিত মাদ্রাসায় হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগে বলা হয়, চাঁদার টাকা না পেয়ে অভিযুক্তরা মাদ্রাসায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
প্রবাসী মিজানুর রহমান জানান, পাঁচ মাস আগে তিনি নিজস্ব জমিতে উম্মুল কুরা মহিলা মাদ্রাসার নির্মাণকাজ শুরু করেন। কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই মোহাম্মদ হাসান ও ফয়েজ ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন এবং নির্মাণে বাঁধা সৃষ্টি করছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, “অভিযুক্ত ফয়েজের সঙ্গে মিজানুর রহমানের আগের থেকেই বিরোধ রয়েছে। ফয়েজ আগে মিজানের মালিকানাধীন এক মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন।”
ঢেমুশিয়া জমিদারপাড়া ইসলামী সমাজ কল্যাণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজ বলেন, “শুনেছি প্রবাসী মিজানের কাছে হাসান অনেকদিন ধরে চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদা না পেয়ে তারা মাদ্রাসায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।”
মাদ্রাসার ইনচার্জ মাওলানা কলিম উল্লাহ বলেন, “আমি প্রতিদিনের মতো গতকাল রাতে মহেশখালীতে বাড়ি চলে যাই। পরে মিজানুর রহমান ফোন করে হামলার খবর দেন। সকালে এসে দেখি মাদ্রাসার দুইটি জানালা ভাঙা।”
এদিকে মিজানুর রহমান জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর মাওলানা ফয়েজের সঙ্গে মসজিদ ও বেতনের হিসাব চূড়ান্ত করে মসজিদ ও মাদ্রাসার চাবি ইমরান নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে বুঝে নেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ফয়েজ জোরপূর্বক ইমরানের কাছ থেকে চাবি কেড়ে নিয়ে মসজিদ দখলের চেষ্টা করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে মাওলানা ফয়েজ বলেন, “এগুলো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র। আমি এখনও ওই মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।”
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, “এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
