ঢাবি ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে উত্তেজনা, আহত অন্তত ১৫

ডাকসু ভিপি সাদিক কায়িম সহ ছাত্র নেতারা শান্ত করলেন সংঘর্ষরত ছাত্রদের

পুর্বধারা ডেস্কঃ

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাতের পরপরই এই সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তা ভোর পর্যন্ত চলতে থাকে। এতে সাংবাদিক সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েমসহ ছাত্রনেতারা। একইসঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট জোনের এসি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ঢাবির শাহনেওয়াজ হলের সামনে ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উভয়পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিউমার্কেটের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ লাঠি, ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে নিউমার্কেট ও শাহবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে রাত ২টার দিকে আবারও সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ঢাবি ছাত্র হাসানুজ্জামান ও ঢাকা কলেজ ছাত্র শাকিলসহ অন্তত ৮ জন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে নিউমার্কেট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে।”
অন্যদিকে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান জানান, “আমরা শিক্ষার্থীদের হোস্টেল থেকে বের না হতে নির্দেশ দিয়েছি। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।”

আরও পড়ুন  চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের দুই কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ৩টা) এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন