জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজন এক কলেজছাত্রকে সোমবার সকালে তার মা থানায় হস্তান্তর করেন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই কলেজছাত্রের পাশাপাশি জুবায়েদের ছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণির এক তরুণীকে এবং আরও একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। তবে তৃতীয় ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত বিরোধ থেকেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে।
ওসি বলেন, “আটক তরুণী জানিয়েছেন, তার সঙ্গে ওই কলেজছাত্রের নয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা ছোটবেলা থেকে পাশাপাশি বাড়িতে বড় হয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। মেয়েটি জানায়, সে জুবায়েদকে পছন্দ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কলেজছাত্র তার বন্ধুদের নিয়ে জুবায়েদকে হত্যা করতে পারে।”
পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন কলেজছাত্র পুরান ঢাকার শেখ বোরহান উদ্দীন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। মেয়েটি পড়ে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে।
এদিকে, রোববার সন্ধ্যা থেকেই ওই কলেজছাত্রের নাম ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সোমবার সকালে তার মা রেখা আহমেদ ছেলেকে নিয়ে বংশাল থানায় গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ছাত্রটির খালু ইমরান শেখ বলেন, “রোববার রাতে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার ভোরে ছেড়ে দেয়। এরপর সকাল সাতটার দিকে রেখা আপা ছেলেকে থানায় দিয়ে আসেন।”
লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি বলেন, “আমরা তিনজনকে আটক করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সন্দেহভাজন ছেলেটির মা নিজেই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। আমরা তাকে উৎসাহিত করেছি। এ জন্য আমরা তার মাকে ক্রেডিট দিতে চাই।”
উল্লেখ্যঃ রোববার রাতে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
