পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ফল ব্যবসায়ী পরিচয়ে বিলাস বহুল ভবনে বাসা ভাড়া নিয়ে ছিলো আটক পর্নোর্স্টার দম্পতি।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় বান্দরবান পৌরসভার রোয়াংছড়ি বাস স্টেশন এলাকার জনৈক আবুল কালাম সেন্টুর ভাড়া বাসা থেকে পর্নোগ্রাফি ভিডিও নির্মাণ ও প্রচারের অভিযোগে আটক করা হয় এই দম্পতিকে।
আটককৃত দু’জন হলো- চট্টগ্রামের আনোয়ারা বরুম ছড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে মো. আজিম (২৮) ও নাদিয়া (৩২)। অবশ্য নাদিয়ার গ্রামের বাড়ি একই এলাকায় নয়।
সুত্রে জানা যায়, তারা বাংলাদেশে বসেই ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা ও আপলোড করতো এবং এর মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করছিলো। সর্বশেষ বান্দরবানে ফল ব্যবসায়ী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলো।
এই যুগল শুধু নিজেরাই অপরাধ করছে না বরং তারা অন্যদেরও এই পথে যুক্ত হতে উৎসাহিত করছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে বসে পর্নো ভিডিও বানানো এবং প্রচারের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলো।
যা বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী, পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও বিতরণ একটি ফৌজদারি অপরাধ।
পরে কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ অভিযানে বান্দরবান থেকে আটক করা হয় তাদের।
এবিষয়ে জানতে বাড়ির মালিক আবুল কালাম সেন্টুর সাথে মুঠোফোনেএকাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে এই বিলাস বহুল ভবনটির ম্যানেজার সৌরভ বলেন, চলতি মাসের ১৩ তারিখে ফল ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে ভবনের ৫ তলায় ১০ হাজার টাকায় দু’জনকে রুম ভাড়া দেয়া হয়। ভাড়া দেয়ার সময় আইডি কার্ড সহ নিয়ম অনুসরে সবকিছু করা হয়। তিনি আরও বলেন, কোথাও তারা বাসার বাইরে গেলে দু’জনই হেলমেট পড়ে বের হন। কিন্তু তারা যে এসব অবৈধ কাজে জড়িত সেটি জানতাম না। আর গ্রেফতার হওয়ার আগে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে আরো এক জন এসেছিলেন।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ বলেন, গত কাল রাতে অভিযান চালিয়ে ম্যাসেজিং এন্ড টেলিগ্রাম গ্রুপে পর্নোগ্রাফীর অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতে তাদেরকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
