‘পোর্ট ইউজার্স ফোরাম সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে—এর ফলেই বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রবেশ ফি স্থগিত করেছে। ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব।’
বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “চেম্বারের গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি। যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুললে ব্যবসায়ীদের সমস্যা দ্রুত সমাধান সম্ভব।”
বিশেষ অতিথি বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি এম এ ছালাম বলেন, “ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে চেম্বারও শক্তিশালী হবে।”
ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের টিম লিডার মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেন, “ওজন স্কেলের অন্যায্য প্রয়োগে চট্টগ্রামের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নির্বাচিত হলে তিন মাসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করব।”
সভায় খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুস সালাম বলেন, “অতীতের নেতৃত্ব ব্যবসায়ীদের পাশে ছিল না, নতুন নেতৃত্ব সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে বলে আশা করি।”
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, “ঐক্যের অভাবেই ব্যবসায়ীরা অসম্মানজনক অবস্থায় পড়েছে।”
চাক্তাই চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনামুল হক বলেন, “ওজন স্কেলের কারণে চট্টগ্রামের ব্যবসা ধ্বংসের পথে, বিমাতাসুলভ আচরণের অবসান চাই।”
সভায় আরও বক্তব্য দেন এসএম আবু তৈয়ব, ওয়াহিদ মালেক, এমডিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী, মো. খোরশেদ আলম প্রমুখ।
সভায় “দল যার যার—চেম্বার সবার” শ্লোগানে চেম্বার নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
