বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী পরিষদের সভাপতি, দি পূর্বকোণ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও আসন্ন চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচনে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেলের প্রার্থী জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করাই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। ব্যবসায়ীদের জন্য আমরা আওয়াজ তুলবো, তাদের সমস্যার সমাধান করবো। ব্যবসায়ীরা নিশ্চয়তা চায়— আমরা সেই ভরসার জায়গায় পৌঁছাতে চাই। ভোটে বিজয়ী হলে তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করবো।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বারের জন্য যে দুর্নাম ছড়িয়ে গেছে তা মুছে হারানো সুনাম ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
২৬ অক্টোবর রোববার পূর্বকোণ সেন্টারের ইউসুফ চৌধুরী কনফারেন্স হলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সঙ্গে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেলের লিডার এস. এম. নুরুল হক।
সঞ্চালনায় ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির মহাসচিব এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর।
সভাপতির বক্তব্যে এস. এম. নুরুল হক বলেন, চট্টগ্রামে এখন ব্যবসায়িক পরিবেশ নেই। ব্যবসা না হলে চট্টগ্রাম বন্দরও অচল হয়ে যাবে। ব্যবসায়ীরা ভ্যাট ও ট্যাক্স নিয়ে নানা হয়রানিতে পড়ছেন— এসব সমস্যার সমাধান করা হবে।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম চেম্বারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি সেবা ও একটি আধুনিক ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হবে, যাতে ব্যবসায়ীরা দ্রুত তথ্য যাচাই ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা পান। এছাড়া একটি আন্তর্জাতিক মানের এক্সিবিশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, অতীতে যারা চেম্বারের নেতৃত্বে ছিলেন, তারা ব্যবসায়ীদের নয়, নিজেদের স্বার্থে কাজ করেছেন। আমরা সেই পারিবারিক চেম্বারের ধারা ভাঙতে চাই। আমাদের লক্ষ্য নিজের উন্নয়ন নয়, ব্যবসায়ীদের উন্নয়ন। ভোটে নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী ঘোষণার আন্দোলন চেম্বার থেকেই শুরু হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক নূ ক ম আকবর হোসেন, মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, মো. আরিফ হোসেন, মো. আবচার হোসেন, মো. কামরুল হুদা, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, কাজী ইমরান এফ. রহমান, এস. এম. কামাল উদ্দিন, মো. হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, মোহাম্মদ আজিজুল হক, মোহাম্মদ রাশেদ আলী, মোহাম্মদ মুছা, সৈয়দ নাসির উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইব্রাহিম, ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল আলম ও স্থপতি আশরাফুল ইসলাম সোভন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বার শুধু একটি ব্যবসায়ী সংগঠন নয়, এটি চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করে। চট্টগ্রাম চেম্বারকে বিশ্বমানের সংগঠনে রূপান্তর করতে পরিকল্পিতভাবে কাজ করা হবে। সকল শ্রেণির ব্যবসায়ীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
তারা আরও বলেন, দেশের প্রধান বন্দর চট্টগ্রামে হলেও বন্দরের আয় থেকে চট্টগ্রামের উন্নয়নে কোনো লেভি পাওয়া যায় না। ব্যবসায়ীরা ‘ওজন স্কেল’ সমস্যায় জর্জরিত। সড়কে নিরাপত্তাহীনতা চরমে; মালামাল চুরি হলেও মামলা নেয় না পুলিশ, উল্টো ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে।
ব্যবসায়ীরা আক্ষেপ করে বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বারের সদস্যরা গত ১৭ বছর ভোট দিতে পারেননি। কোটা পদ্ধতিতে নেতৃত্ব বণ্টন করা হয়েছিল— এবার যেন কেউ কোটার মাধ্যমে নেতৃত্বে আসতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকতে হবে।
তারা আরও বলেন, চট্টগ্রামে পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু সেটি কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এজন্য চট্টগ্রাম চেম্বারে একটি গবেষণা সেল (রিসার্চ সেল) গঠন করা জরুরি।
