আওয়ামী সন্ত্রাসী পাগলা মঞ্জুর করা মিথ্যা ও হয়রানি মুলক মামলার প্রতিবাদের রানীর হাট ব্যাবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২৯ এপ্রিল রাত ৮টায় রানীর হাট ব্যাবসায়ী সমিতি’র কার্যালয়ে জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপত্বিতে অভিযোগ পাঠ করেন ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হারুন সওদাগর, বক্তব্য রাখেন সওদাগর করিম চৌধুরীর ও কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে তারা বলেন, ২০০৬ সালে পাগলা মঞ্জুর চাচা আমিনুল ইসলাম চৌধুরীর কাছ থেকে জমি কিনেছেন হারুন সওদাগর। দখলিত অবস্থায় আওয়ামী সরকার আমলে জমি জোর পূর্বক দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী সন্ত্রাসী খালেক মঞ্জু প্রকাশ পাগলা মঞ্জু কেড়ে নিয়েছেন।
এক পর্যায়ে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় সন্ত্রাসী খালেক মঞ্জু চাষাবাদে বাধা দেয় এবং অস্ত্র শস্ত্রে হুমকি সহ জমির ফসল কেটে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে গ্রাম্য আদালতের পরামর্শে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার বিগত ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর অভিযোগ দায়ের করেন হারুন সওদাগর। সেসময় থানার সহযোগিতায় ১০ ডিসেম্বর সার্ভেয়ার নিয়োগের মাধ্যমে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পর কৃষক ইউসুফের মাধ্যমে ২০২৪ সালে পুনরা চাষাবাদ শুরু করি।
ইদানীং পাগলা মঞ্জু আমি হারুন সওদাগর সহ ব্যবসায়ী করিম চৌধুরী, রানীরহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহেদ চৌধুরী সহ ১৫/১৬ জনকে আদালতে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন। এবং বিভিন্ন অন লাইন মিডিয়ায় মিথ্যা বানোয়াট গল্প কাহিনি প্রচার করছে। এমনকি ব্যাবসায়ী হারুন সওদাগর ও তার ছেলেকে অস্ত্র শস্ত্রে দলবল নিয়ে হামলাকরে পাকা ধান কাটতে বাধা দেয় এবং প্রান নাশের হুমকির দেয়ার কারনে আজ এই সংবাদ সম্মেলনে করতে বাধ্য হয়েছি।
এই পাগলা মঞ্জু আওয়ামী লীগ সরকার আমলে জোর পূর্বক রানীর হাট বাজারে মসজিদ দখল করে ৫ লাখ টাকা ও সাত ঘরিয়া পাড়া মসজিদের সাড়ে ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন যার বিরুদ্ধে আওয়ামী আমলে কয়েক দফা জুতা মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
এই পাগলা মঞ্জু বিরুদ্ধে নিজের ভাইয়ের সম্পত্তিও আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রতি সন্ত্রাসী মঞ্জুর শাস্ত্রি চেয়ে নিরীহ গ্রামবাসী ও ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা রুজু করা মামলার আইনগত ভাবে সুষ্ট তদন্তসহ বিচার চেয়েছে।
